ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন সার্কিটে রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করা হয় ।রেজিস্ট্যান্স ছাড়া একটা ইলেকট্রনিক সার্কিট কখনোই সম্পন্ন করা যায় না । তাই ইলেকট্রনিক্স সার্কিট একটা গুরুত্বপূর্ণ কম্পনেন্ট হলো রেজিস্ট্যান্স ।প্রত্যেকটা রেজিস্ট্যান্সের একটা নির্দিষ্ট মান রয়েছে । এই মান অনুযায়ী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্কিটে রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করা হয় । রেজিস্টর বিভিন্ন মানের এবং বিভিন্ন ওয়াটের হয়ে থাকে । এই কম্পোনেন্টের না মূলত রেজিস্টর । আর এই রেজিস্টর এর কাজ করার বৈশিষ্ট্য কে বলা হয় রেজিস্ট্যান্স । তাহলে আমরা এই কম্পোনেন্ট কে রেজিস্টর এবং রেজিস্ট্যান্স নামে ডাকতে পারি ।চলুন আমরা দেখে নেবো রেজিস্ট্যান্স গুলো Watt অনুযায়ী দেখতে কেমন ।
রেজিস্টেন্সের কালার কোড রয়েছে । কালার কোড অনুযায়ী বলা যায় যে এই রেজিস্ট্যান্সের মান কত । আজ আমরা শিখব কালার কোড অনুযায়ী রেজিস্ট্যান্সের মান কিভাবে বের করা যায় । এই কালার কোড যদি আপনি ভালো ভাবে বোঝেন তাহলে যেকোনো রেজিস্ট্যান্স হাতে নিয়ে আপনি দেখে বলে দিতে পারবেন এর মান কত ।
এই পোস্টে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব কালার কোড নিয়ে । আশা করি আপনারা কালার কোড সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পারবেন । প্রত্যেকটা রেজিস্ট্যান্স একটা নির্দিষ্ট কালার ব্যান্ড থাকে ।যেমন 4 band,5 band,6 band,surface mount resistance,Ceramic resistance.মোটামুটি এই কয় প্রকারের রেজিস্ট্যান্স রয়েছে । নিচের ছবিতে আমি আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি ।আমি প্রত্যেকটা ব্যান্ড নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনা করব এবং আপনাদের গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে দেখাবো ।যাতে আপনারা কালার কোড দেখে যেকোনো রেজিস্ট্যান্সের মান খুব সহজেই বের করতে পারেন ।
কালার কোড বের করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে । এই নিয়মটা আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে ।নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন ।
কাবালাকহসনীবেধুসা এই লাইনটা মুখস্ত করে ফেলুন আর ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন ।এখানে প্রথমে কা-কালো কালার এর মান 0 এবং সা= সাদা কালার এরমান 9.
কাবালাকহসনীবেধুসা:
কা = কালো কালার = 0
বা = বাদামি কালার = 1
লা = লাল কালার = 2
ক = কমলা কালার = 3
হ = হলুদ কালার = 4
স = সবুজ কালার = 5
নী = নীল কালার = 6
বে = বেগুনি কালার = 7
ধু = ধূসর কালার = 8
সা = সাদা কালার = 9
এই প্রত্যেকটা কালার অনুযায়ী এর মান গুলো মনে রাখতে হবে । এই মান অনুযায়ী একটা রেজিস্ট্যান্সের মান কালার কোড অনুযায়ী বের করা হয় । আরেকটা বিষয় আছে টলারেন্স …
গোল্ডেন কালার = +-5%
সিলভার কালার = +-10%
তাহলে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা ব্যান্ডের রেজিস্ট্যান্স নিয়ে আমি আপনাদের গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে দেখায় । তাহলে বুঝতে পারবেন এটা দিয়ে কিভাবে কাজ করা হয় ।
4 band resistance:
রেজিস্ট্যান্স যদি চার ব্যান্ডের হয় তাহলে এর কালার অনুযায়ী মান বের করার রুলস গুলো জেনে নিন ।রেজিস্ট্যান্স যদি 4 ব্যান্ডের হয় । তাহলে এর প্রথম তিনটা ব্যান্ড ধরতে হবে ।আর শেষের ব্যান্ডটি টলারেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়।উপরের ছবিতে কালার লক্ষ্য করুন ।
1st band = বাদামি কালার =1
2nd band = সবুজ কালার = 5
3rd band = লাল কালার = 2
4th band = টলারেন্স গোল্ডেন কালার = +-5%
চার ব্যান্ডের রেজিস্টেন্সের কালার কোড বের করার নিয়ম হলো প্রথম দুইটা ব্যান্ডের কালার অনুযায়ী মান বসে যাবে এবং তৃতীয় ব্যান্ডের মান যা হবে সেই কয়টা শূন্য বসবে ।এখানে হিসাব করে যে মান বের হবে টলারেন্স হলো সেই মান থেকে মাইনাস 5 অথবা প্লাস 5 এর মধ্যে থাকবে । তাহলে কালার কোড অনুযায়ী আমরা মান পাচ্ছি ।
=1500+-5%
= 1.5 kOhm +-5%
এভাবে কালার কোড অনুযায়ী রেজিস্ট্যান্সের মান হিসাব করে বের করা হয় ।এখানে উদাহরণ হিসেবে আমি এই কালার গুলো দিয়েছি । আপনারা যে কোন কালার কোড দিয়ে এই নিয়ম অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে দেখবেন । আশাকরি 4 ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে মান বের করা আপনারা বুঝতে পেরেছেন । এখন আপনাদের ফাইভ ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী মান বের করে দেখাবো ।
5 band resistance:
যদি 5 ব্যান্ডের হয় তাহলে এর কালার অনুযায়ী মান বের করার রুলস গুলো জেনে নিন ।রেজিস্ট্যান্স যদি 5 ব্যান্ডের হয় । তাহলে এর প্রথম তিনটা ব্যান্ড চিত্র লক্ষ্য করুন 1st digit,2nd digit ,3rd digit ধরতে হবে ।4 নম্বর কালার কোড হল মাল্টিপ্লেয়ার ।কালার কোড অনুযায়ী এই মাল্টিপ্লেয়ার এর মান যা হবে সেই কয়টা শূন্য বসাতে হবে । আর শেষের ব্যান্ডটি টলারেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়।উপরের ছবিতে কালার লক্ষ্য করুন ।
1st band = বাদামি কালার =1
2nd band = সবুজ কালার = 5
3rd band = লাল কালার = 2
4th band = লাল কালার = 2 = multiplier
5th band = টলারেন্স গোল্ডেন কালার = +-5%
5 ব্যান্ডের রেজিস্টেন্সের কালার কোড বের করার নিয়ম হলো প্রথম 3 ব্যান্ডের কালার অনুযায়ী মান বসে যাবে এবং 4th ব্যান্ডের মান যা হবে সেই কয়টা শূন্য বসবে । 5 ব্যান্ড হলো টলারেন্স। এখানে হিসাব করে যে মান বের হবে টলারেন্স হলো সেই মান থেকে মাইনাস 5 অথবা প্লাস 5 এর মধ্যে থাকবে । তাহলে কালার কোড অনুযায়ী আমরা মান পাচ্ছি ।
=15200+-5%
= 15.2 kOhm +-5%
এভাবে কালার কোড অনুযায়ী রেজিস্ট্যান্সের মান হিসাব করে বের করা হয় ।এখানে উদাহরণ হিসেবে আমি এই কালার গুলো দিয়েছি । আপনারা যে কোন কালার কোড দিয়ে এই নিয়ম অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে দেখবেন । আশাকরি 5 ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে মান বের করা আপনারা বুঝতে পেরেছেন । এখন আপনাদের 6 ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী মান বের করে দেখাবো ।
6 band resistance:
রেজিস্ট্যান্স যদি 6 ব্যান্ডের হয় তাহলে এর কালার অনুযায়ী মান বের করার রুলস গুলো জেনে নিন ।রেজিস্ট্যান্স যদি 6 ব্যান্ডের হয় । তাহলে এর প্রথম তিনটা ব্যান্ড চিত্র লক্ষ্য করুন 1st digit,2nd digit ,3rd digit ধরতে হবে ।4 নম্বর কালার কোড হল মাল্টিপ্লেয়ার ।কালার কোড অনুযায়ী এই মাল্টিপ্লেয়ার এর মান যা হবে সেই কয়টা শূন্য বসাতে হবে । তারপর 5 নম্বর ব্যান্ডটি টলারেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়। 6 নম্বর ব্যান্ডটি TCR (Parts per million per degree centigrade) হিসেবে বিবেচিত হয় .এই TCR টা কি এটা একটু ভালোভাবে বুঝতে হবে । উপরের ছবিতে কালার লক্ষ্য করুন ।দেখুন এইখানে একটা চার্ট দেখিয়েছি। এই চার্ট এর লাস্টে দেখুন TCR (Parts per million per degree centigrade) রয়েছে।আমরা জানি প্রত্যেকটা রেজিস্ট্যান্স যখন লোডে থাকে বা কাজ করে তখন কিন্তু রেজিস্ট্যান্স টি গরম হয়।
এখন TCR যে কালার টি থাকবে,রেজিস্ট্যান্স টি যখন হিট হবে তখন এর মান কালার কোড অনুযায়ী কম বা বেশি হবে ।উপরের ছবিতে চার্ট দেখুন প্রত্যেকটা কালারের জন্য আলাদা আলাদা TCR রয়েছে ।আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন ।
1st band = বাদামি কালার =1
2nd band = সবুজ কালার = 5
3rd band = লাল কালার = 2
4th band = লাল কালার = 2 = multiplier
5th band = টলারেন্স গোল্ডেন কালার = +-5%
6th band = TCR = কালো কালার = 0
6 ব্যান্ডের রেজিস্টেন্সের কালার কোড বের করার নিয়ম হলো প্রথম 3 ব্যান্ডের কালার অনুযায়ী মান বসে যাবে এবং 4th ব্যান্ডের মান যা হবে সেই কয়টা শূন্য বসবে । 5 ব্যান্ড হলো টলারেন্স। 6 ব্যান্ড হলো TCR। এখানে হিসাব করে যে মান বের হবে টলারেন্স হলো সেই মান থেকে মাইনাস 5 অথবা প্লাস 5 এর মধ্যে থাকবে । তাহলে কালার কোড অনুযায়ী আমরা মান পাচ্ছি ।
=15200+-5%
= 15.2 kOhm +-5%
এভাবে কালার কোড অনুযায়ী রেজিস্ট্যান্সের মান হিসাব করে বের করা হয় ।এখানে উদাহরণ হিসেবে আমি এই কালার গুলো দিয়েছি । আপনারা যে কোন কালার কোড দিয়ে এই নিয়ম অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে দেখবেন । আশাকরি 6 ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে মান বের করা আপনারা বুঝতে পেরেছেন । এখন আপনাদের 6 ব্যান্ড রেজিস্টেন্সের কালার কোড অনুযায়ী মান বের করে দেখাবো ।
surface mount resistor:
surface mount resistor- সারফেস মাউন্ট রেজিস্ট্যান্সের কোন লেগ থাকে না ।এই রেজিস্ট্রেশন সরাসরি সার্কিটের ওপর সোল্ডারিং করে বসানো হয় । এই রেজিস্ট্যান্স গুলো ও বিভিন্ন মানের হয়ে থাকে ।কিন্তু এই রেজিস্টেন্সের কোন কালার দেওয়া থাকে না । বিভিন্ন সংখ্যা বা কোড এই রেজিস্ট্যান্স এর উপর লেখা থাকে । চলুন এই রেজিস্ট্যান্সের মান বের করার নিয়ম টা জেনে নিব । নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন রেজিস্ট্যান্স গুলোর থ্রি ডিজিট এবং চার ডিজিটের হয়ে থাকে ।এই রেজিস্টেন্সের কোন টলারেন্স নাই ।থ্রি ডিজিট এর মান বের করার জন্য প্রথম দুইটা ডিজিট বসে যাবে তৃতীয় ডিজিটের যে নাম্বার হবে সেই কয়টা শূন্য বসাতে হবে ।এভাবেই এর মান বের করা হয় ।
4th digit এর মান বের করার জন্য প্রথম তিনটা ডিজিট বসে যাবে চতুর্থ নম্বর ডিজিটের যে সংখ্যা থাকবে সেই কয়টি শূন্য বসবে ।এভাবেই surface mount resistor এরমান হিসাব করা হয় । আশা করি নিয়মগুলো বুঝতে পেরেছেন।
Ceramic resistor:
সিরামিক রেজিস্ট্যান্স গুলো একটু বড় আকৃতির হয়ে থাকে ।এই রেজিস্ট্যান্স গুলোর গায়ে কোন কালার কোড থাকেনা এবং কোন ডিজিট ও লেখা থাকেনা ।এইগুলো সাধারণত বেশি ওয়াটের রেজিস্ট্যান্স হয়ে থাকে ।এই রেজিস্টেন্সের গায়ে এর মান কত সেটা লেখা থাকে সুতরাং কোনো গাণিতিক ক্যালকুলেশন করার প্রয়োজন হয় না ।এই রেজিস্ট্যান্স গুলো 3 ওয়াট থেকে 40 -50 ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে ।সার্কিটে যেসকল জায়গায় বেশি ওয়াট এর প্রয়োজন হয় সেই সকল জায়গায়তেই সিরামিক রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করা হয় ।
A street hawker paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12, 8-10,…
Water pollution paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12, 8-10, SSC,…
Our national flag paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12, 8-10,…
A mobile phone paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12, 8-10,…
A tea stall paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12, 8-10,…
International Mother Language Day paragraph for Class 6, 7, 8, 9, 10, 11 and 12,…
View Comments
Nice post